আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচিতি
সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গাওছে জামান আরেফ বিল্লা শাহ্ সুফি হযরত খানবাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা (র:) এর আদর্শ ও তরীকা প্রচারের নিমিত্তে ১৯৮৪ সালে উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলায় আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম শুরু হয় হয়। আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন, তরিকতে কাদরিয়া আহ্‌ছানিয়ার একটি সংগঠন। এই মিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর রহমান খান (র:)। শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর […]
সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গাওছে জামান আরেফ বিল্লা শাহ্ সুফি হযরত খানবাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা (র:) এর আদর্শ ও তরীকা প্রচারের নিমিত্তে ১৯৮৪ সালে উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলায় আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম শুরু হয় হয়। আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন, তরিকতে কাদরিয়া আহ্‌ছানিয়ার একটি সংগঠন। এই মিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর রহমান খান (র:)। শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর রহমান খান (র:)  ছিলেন হযরত খানবাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা (র:) এর প্রাণ প্রিয় রূহানী সন্তান।   প্রায় একত্রিশ (৩১) বছর পূর্বে ১৯৮৪ সাল থেকে উত্তর বঙ্গের লালমনিরহাট জেলায় আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিন দশক থেকে অত্যন্ত সফলতার সাথে আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তরীকা ভিত্তিক এই মিশনের শাখা উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।   পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সাঃ), পবিত্র শবে-ই বরাত, পবিত্র শবে-ই কদর, পবিত্র ফাতেহা ইয়াজ-দাহম, পবিত্র শবে-ই মেরাজ,  মহাপবিত্র আশুরা ও বিশ্ব শোক দিবস, আখেরী চাহার সোম্বা ইত্যাদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। এছাড়াও সমস্ত মিশনে প্রতি বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব সাপ্তাহিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।   সমাজের অসহায় এবং দুস্থ মানুষের জন্য আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন কাজ করে থাকে। একটি হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে গরিব মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। অত্যন্ত দরিদ্র এবং অসহায় কিছু পরিবারকে প্রতিমাসে ২৫-৩০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতি শুক্রবার ২৫-৪০ জন ভিক্ষুকে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। প্রতি ঈদে অসহায় পরিবারের মধ্যে নতুন শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। যাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ তাদের মাঝে সেমাই ও চিনি বিতরণ করা হয়। প্রতিবছর শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতিম ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। গৃহহীনকে গৃহনির্মাণে আর্থিক সাহায্য করা হয়। এছাড়াও আরও অনেক সেবামূলক কাজ করা হয়। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টির সেবার কোন বিকল্প নেই। শুধুমাত্র স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে খুব দ্রুত আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। তাই আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশনের দুইটি দিক আছে যথা: স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টির সেবা। তরীকার মাধ্যমে আধ্যাত্ম সাধান এবং স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করাই এই মিশনের মূলমন্ত্র। রুহের উন্নতির জন্য তরিকত অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মানুষের চরিত্র গঠিত না হলে তাঁকে দিয়ে কোন কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন সদস্যদের চরিত্র গঠনে কাজ করে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং সৃষ্টির সেবার লক্ষে আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন কাজ করে যাচ্ছে। জেলা ভিত্তিক মিশনের তালিকা নিম্নরূপ:   লালমনিরহাট জেলা:   ১.আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ২.আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মহিলা মিশন।   কুড়িগ্রাম জেলা:   ১.মইদাম আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ২.থানাঘাট আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ৩.তরীরহাট আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ৪.ধলডাঙ্গা আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ৫.আন্দারীঝার আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ৬.নাখারগঞ্জ আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ৭.নাইকারহাট আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   ক্রমিক নং ১ হইতে ০৬ পর্যন্ত স্থানে মহিলা মিশনের কার্যক্রম চলিতেছে।   বগুড়া:   ১.বগুড়া আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।   গাইবান্ধা:   ১.গাইবান্ধা আদর্শ আহ্‌ছানিয়া মিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *