আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচিতি
সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গাওছে জামান আরেফ বিল্লা শাহ্ সুফি হযরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর আদর্শ ও তরীকা প্রচারের নিমিত্তে ১৯৮৪ সালে উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট জেলায় আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম শুরু হয় হয়। আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশন, তরিকতে কাদরিয়া আহ্ছানিয়ার একটি সংগঠন। এই মিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর রহমান খান (র:)। শাহ্ সূফী হযরত আতিয়ুর রহমান খান (র:) ছিলেন হযরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর প্রাণ প্রিয় রূহানী সন্তান।
মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্যঃ
যাকাতের অর্থ পরোপকার বা সেবা। সৃষ্টির সেবা করাই যাকাতের মূল উদ্দেশ্য। সৃষ্টিকে অবহেলা করে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না। তাই নামাজের সাথে সাথে ৮২ ( বিরাশি) বার যাকাতের কথা বলা হয়েছে। যাকাত ব্যতিত নামাজ পূর্নাঙ্গ এবাদতে পরিনত হয়না। সৃষ্টির সেবা এই তরীকার বিশেষ বৈশিষ্ট। আহছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই তরীকার মানব কল্যান করে থাকে।
কাদেরিয়া আহ্ছানিয়া তরীকার বৈশিষ্ট:
আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যক্রম
প্রায় পয়ত্রিশ (৩৫) বছর পূর্বে ১৯৮৫ সাল থেকে উত্তর বঙ্গের লালমনিরহাট জেলায় আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিন দশক থেকে অত্যন্ত সফলতার সাথে আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশন তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তরীকা ভিত্তিক এই মিশনের শাখা উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
প্রতি বছর শীতবস্ত্র বিতরণ
প্রতি শুক্রবার বাদ জুম্মা ভিক্ষুকদের খাবার প্রদান
সাপ্তাহিক মিলাদ মাহফিল
ঈদের নামাজের জামাত
ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন
প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী
দাতব্য চিকিৎসালয় (এলোপ্যাথি)
দাতব্য চিকিৎসালয় (হোমিওপ্যাথি)
আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশনের ভবিষ্যত পরকল্পনা
জেলা
শাখা মিশন
যে নামাজে দরদ নাই, যে নামাজে দেল গলে না, যে নামাজে চক্ষু অশ্রুসিক্ত না হয়, যে নামাজে দেহের ভিতর তোলপাড় না করে, যে নামাজে শরীরে কুঞ্চন না আসে, যে নামাজে ঘর্ম্ম নির্গত না হয়, যে নামাজে আত্মিক বিদ্যুতের উন্মেষ না হয়, সে নামাজে শুষ্ক, তাহাতে মে'রাজ লাভ হয় না।
মহব্বত হল আল্লাহ এবং রাসূলের নৈকট্য প্রাপ্তির একমাত্র পথ। তাই মহব্বত কর আল্লাহকে, রাসূলকে এবং মুর্শিদকে। এই মহব্বত ই জান্নাত লাভের ওছিলা হবে।
মানুষের ভিতরে ষড়রিপু নামক যে শয়তান আছে তাকে বাহ্যত দেখা যায় না। অথচ এই ষড়রিপুর প্ররোচনায় পূন্যের কাজও বরবাদ হয়ে যায়। সাধারন মানুষের পক্ষে এই শয়তানের চক্রান্ত বোঝা খুবই কঠিন।